সারা বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ২০% মানুষ দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্যে রোগে ভুগছেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যন রোগ কি?
★ পায়খানা অত্যন্ত শক্ত হওয়া,
★ সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মলত্যাগ না হওয়া,
★ জোরে চাপ দিয়ে মলত্যাগ করতে হয়,
★ মলত্যাগ করতে গিয়ে মলদ্বারে বাঁধা অনুভব করা,
★ মলত্যাগের সুবিধার্থে আংগুল ব্যবহার করতে হওয়া,
★ মলত্যাগের পর অসম্পূর্ণ মনে হওয়া।
কাদের কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে?
★ ৬০ বা তদূর্ধ্ব বয়সী মহিলা ও পুরুষ,
★ গর্ভকালীন সময়ে,
★ Polypharmacy বা যারা প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের জন্য অনেক ধরনের ওষুধ সেবন করেন,
★ মানসিক উদ্বেগ অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি,
★ যারা দীর্ঘ মেয়াদী মলাশয় সহ অন্যান্য অঙ্গের রোগে ভুগছেন।
চিকিৎসা না করালে এ রোগে যেসব ক্ষতি হতে পারেঃ
★ পায়ুপথে রক্তপাত,
★ পাইলস বা অর্শ্বরোগ,
★ এনাল ফিশার বা মলদ্বার ছিঁড়ে যাওয়া,
★ রেকটাল প্রল্যাপস বা মলদ্বার বের হয়ে যাওয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের নিরসনে যা করণীয়ঃ
★ প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা,
★ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া ও ঘুমানো (অন্তত ৭-৮ ঘন্টা),
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা (৮-১২ গ্লাস),
★ প্রতিদিনের খাবারের সাথে রংধনু রংয়ের তাজা শাক সবজি ও আঁশযুক্ত ফল খাওয়া,
★ যেকোন খাবার বিশেষ করে শক্ত খাবার সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ভালো ভাবে চিবিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করে তারপর গিলে খাওয়া,
★ মনোযোগ সহকারে খাবার গ্রহণ করা,
★ খাওয়ার সময় টিভি /মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকা,
★ অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড খাবার পরিহার করা,
★ বাজে তেল ও অধিক শর্করা জাতীয় খাবার বর্জন করা,
দীর্ঘ মেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।