*রক্তদানের যোগ্যতা*
👉 ১৮ থেকে ৬০ বৎসরের এবং ৫০ কেজি বা তার বেশী ওজনের যেকোনো সুস্হ মনুষ রক্তদান করতে পারেন।
👉 সম্প্রতি (৬-মাস) কোন দূর্ঘটনা বা বড় ধরনের কোনো অপারেশন না হলে এবং কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে।
👉 রক্তবাহিত কোন জটিল রোগ, যেমনঃ- ম্যালেরিয়া, এইডস, হেপাটাইটিস, গনোরিয়া, সিফিলিস, হৃদরোগ, চর্মরোগ, ডায়াবেটিক, টাইফয়েড এবং বাতজ্বর ইত্যাদি না থাকলে।
👉 রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে এবং গত তিন মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি তিনি অনায়াসে রক্তদান করতে পারেন।
*রক্তদানের উপকারিতা*
👉 রক্তদান স্বাস্হের জন্য উপকারী।কারণ রক্ত দিলে দেহে নতুন কণিকা সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
👉 রক্তদানে শরীরের কোন ক্ষতি হয়না, বরং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীর রক্তশূণ্যতা, হূদরোগ, হার্ট অ্যাটাক প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
👉 নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় ধরনের কোনো রোগ আছে কি না। যেমনঃ হেপাটাইটিস বি/সি, সিফিলিস, গনোরিয়া এবং এইডস।
👉 রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, একজন মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ এটি এতো বড় দান, যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
👉 রক্তদানের মাধ্যমে পারস্পরিক সেবা, সহানুভূতি ও সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও ভ্রাতৃত্ব রক্ষা করতে অনন্য ভূমিকা রাখে।
👉 রক্তদানে ধর্মীয় কোন বিধিনিষেধ নেই। বরং রক্তদান ধর্মীয় দিক দিয়ে অত্যন্ত পূর্ণের কাজ। কারণ রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসা পৃথিবীর সর্বোচ্চ সেবার অন্তর্ভুক্ত।
সুতরাং জীবন বাঁচাতে রক্ত দিন।