অনেকেই বদহজমের ভয়ে বেশি ডাল খেতে চান না। কিন্তু যদি ভালো ভাবে রান্না করা যায় তাহলে ডালের আমিষের একটা বিরাট অংশ (প্রায় ৯৯%) শরীরের কাজে লাগে।
এছাড়াও কয়েকটি ডালের নানা পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো-
মুগ ডাল : মুগ ডাল সহজেই হজম হয়। তাই রোগীদের ক্ষেত্রে মুগ ডালের ব্যবহারটাই দেখা যায় বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম মুগ ডালে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩৫৮ ক্যালরি
আমিষ- ২৪.৫ গ্রাম
চর্বি- ১.২ গ্রাম
শর্করা- ৫৯.৯ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৭৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৪০৫ মিলিগ্রাম
লোহা- ৮.৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি১- ০.৪৬ মিলিগ্রাম
মসুর ডাল : মসুর ডালও সহজপাচ্য এবং এতেই আমিষের পরিমাণ রয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩১৬ ক্যালরি
আমিষ- ২৫.১ গ্রাম
চর্বি- ০.৭ গ্রাম
শর্করা- ৫৯.৯ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৬৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ২৪২ মিলিগ্রাম
লোহা- ৪.৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন- ৪৫০ আইইউ
ভিটামিন বি১- ০.৪৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২- ০.৪৯ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- ১.৫ মিলিগ্রাম
মাসকলাই ডাল : মাসকলাই ডাল খনিজের আধার। গ্রামাঞ্চলে এই ডাল খাওয়া হয় বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম মাসকলাই ডালে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩২৬ ক্যালরি
আমিষ- ২৪.০ গ্রাম
চর্বি- ১.৪ গ্রাম
শর্করা- ৫৯.৬ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ১৫৪ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৩৮৫ মিলিগ্রাম
লোহা- ৯.১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ- ৬৪ আইইউ
ভিটামিন বি১- ০.৪২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২- ০.৩৭ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- ২.০ মিলিগ্রাম
ছোলার ডাল : ছোলার ডাল আমিষের উত্স হিসেবে জনপ্রিয় হলেও এতে তুলনামূলকভাবে চর্বির পরিমাণটা বেশি। তাই পুষ্টিগুণ বিচার করলে ছোলার ডাল ও এই জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়াটাই ভালো। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলার ডালে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩৮৫ ক্যালরি
আমিষ- ২০.৮ গ্রাম
চর্বি- ৫.৬ গ্রাম
শর্করা- ৫৯.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৫৬ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৩৩১ মিলিগ্রাম
লোহা- ৯.১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ- ২১৬ আইইউ
ভিটামিন বি১- ০.৪৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২- ০.১৮ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- ২.৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি- ১ মিলিগ্রাম
খেসারি ডাল : খেসারির ডাল অতিরিক্ত খেলে শরীরে ব্যথা-বেদনাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই ডাল বেশি না খাওয়াই ভালো। প্রতি ১০০ গ্রাম খেসারি ডালে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩২৭ ক্যালরি
আমিষ- ২২.৯ গ্রাম
চর্বি- ০.৭ গ্রাম
শর্করা- ৫৫.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৯০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৩১৭ মিলিগ্রাম
লোহা- ৬.৩ মিলিগ্রাম
উত্কৃষ্ট উদ্ভিজ্জ আমিষ হলেও কোনো এক প্রকারের ডালে সব অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। তাই প্রতিদিন একই রকম ডাল খেয়ে একেক দিন একেক রকম ডাল অথবা একই দিন দুই-তিন রকম ডাল মিশিয়ে খাওয়া উচিত।