তিন বছরের কম বয়সী শিশুরা বিপদ থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারটা বুঝতে পারেনা বা এ বিষয়ক বিধি নিষেধগুলো মনে রাখতে পারেনা, তাই তাদের সাথে সবসময় একজন বড় কেউ থাকা প্রয়োজন।
তিন বছর বয়স পার হলে শিশুরা কোন কিছু কি করে সাবধানে করতে হয় তা শেখা শুরু করে, তারপরও তারা সেগুলো মাঝে মধ্যে ভুলে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি কোন কারনে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে বা যদি তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয় । কোন কিছু শিখিয়ে দেয়ার পর শিশুরা হয়ত শেখানো জিনিষটি আপনাকে করে দেখাতে পারবে, তবে তারা সেটি নাও বুঝতে পারে বা সবসময় ঠিকভাবে পালন নাও করতে পারে।
বাচ্চারা অন্যদের দেখে শেখে। যদি আপনি এবং আপনার পরিবারের লোকজন ও বন্ধুবান্ধব ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্ম করে থাকেন, তাহলে বাচ্চারা সেটিকেই স্বাভাবিক মনে করবে। আপনার শিশুকে বলুন, সে যদি কোন কিছু করতে অস্বস্তি বোধ করে বা তাকে যদি বিপদজনক বা হাস্যকর কিছু করতে বলা হয় তাহলে সে যেন সেটা না করে। এরকম কিছু হলে সে যেন আপনাকে জানায় সে ব্যাপারে তাকে উৎসাহিত করুন।
নিচের জিনিসগুলো একদম ছোট বাচ্চাকেও আপনি শিখিয়ে দিতে পারেন, যাতে তারা নিরাপদ থাকতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাকে তার পুরো নাম শিখিয়ে দিন।
মনে রাখতে পারার মত বয়স হওয়া মাত্র বাচ্চাকে বাড়ির ঠিকানা মুখস্ত করিয়ে দিন।
নিজে নিজে বিপদ টের পাওয়ার মত বয়স হওয়া মাত্র শিশুকে জরুরী অবস্থায় কোন নাম্বারে ফোন করে সাহায্য চাইতে হবে তা ভালোভাবে শিখিয়ে দিন, বিশেষত যদি আপনার শিশুর ডায়াবেটিস বা মৃগীরোগ থাকে বা সে অন্ধ হয় অথবা যদি তার এমন কোন সমস্যা থাকে যার জন্য সাহায্য চাওয়ার দরকার পড়তে পারে।
বাচ্চাকে শিখিয়ে দিন, মার্কেটে অথবা বাইরে কোথাও গেলে সে যদি হারিয়ে যায় তাহলে যেন সে যেখানে আছে সেখানেই দাড়িয়ে থাকে এবং ছোট বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অন্যকোন মহিলার কাছে গিয়ে সাহায্য চায়। এটা বাচ্চাকে অপিরিচিত কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করার চাইতে নিরাপদ, কারন তাতে সে কারো সাথে কথা না বলে একা একা ঘুরতে ঘুরতে আরও দূরে কোথাও চলে যেতে পারে।