১। প্রক্রিয়াজাত মাংস
অনেক সময় খাবারে ব্যবহৃত জিনিস ই মাইগ্রেন এর ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম নাইট্রেট এবং নাইট্রাইটস মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
তাই হট ডগ, সালামি, সসেজ, বিকন এর মত খাবার বা যেসব খাবারে এগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা উত্তম।
তবে এর অর্গানিক সংস্করণ বা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো ব্যতীত কোন সংস্করণ যদি আপনি খুঁজে পান তবে সীমিত পরিমাণে খেতে পারেন।
২। পনির
অনেক সময় পুরনো পনির খেলে মাইগ্রেন এর ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। পনিরে ব্যবহৃত টায়রামাইন রক্তনালীকে প্রসারিত করে হঠাৎ মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং প্রানীজ ক্যালসিয়াম থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়। সে ক্ষেত্রে এসব খাবারে থাকা পুষ্টিউপাদানের অভাব পুরণের জন্য আপনাকে অন্য উৎস খুঁজে বের করতে হবে।
৩। অ্যালকোহল
গবেষণায় দেখা যায় যে রেড ওয়াইন এবং বিয়ার এর মত অ্যালকোহল সেবনে মাইগ্রেন ট্রিগার হিসাবে কাজ করে।
এসব পানীয়গুলিতে প্রায়শই টাইরামাইন থাকে এবং এটি দ্রুত মাথা ব্যথা করার একটি কারণ হতে পারে।
এছাড়া, ওয়াইনে থাকা সালফাইট মাথাব্যথা কে ট্রিগার করতে পারে।তাই, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
৪। চকলেট
চকোলেটে থাকে বিটা-ফিনাইলিথিলামাইন যা খেলে মাইগ্রেন এর ব্যথা হতে পারে। এতে থাকা ক্যাফেইন এবং টাইরামিন আপনার মাথাব্যথা আরও খারাপ করে দিতে পারে।
আপনার যদি চকলেট খুবই পছন্দের খাবার হয় তবে কোন চকলেট কি পরিমাণে খেলে ব্যথা হয় সেটি পরীক্ষা করে আপনার জন্য উপযোগী চকলেটটি নির্বাচন করতে পারেন।
যদিও এটি এড়িয়ে চলায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৫। চা ও কফি
অনেক মাইগ্রেন চিকিৎসায় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করার পরামর্শ দেয়া হয় কারণ এটি রক্তনালীগুলিকে সীমাবদ্ধ করে এবং মাথা ব্যথার ব্যথা হ্রাস করতে পারে।
তবে অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণ এবং তারপরে হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে যেমন কোন একদিন হঠাৎ সকালের চা বা কফি না খাওয়া মাইগ্রেন ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে।
প্রত্যাহারের প্রতিক্রিয়ায় আপনার মাথায় প্রচুর রক্ত সঞ্চালিত হয় যা মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে বা আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
৬। কোক
কার্বোনেটেড ড্রিংকস বা সোডা জাতীয় খাবারে ক্যাফেইন এবং এস্পারটাম দুটো ই থাকে। অনেক সময় আমরা ডায়েট কোক খেয়ে থাকি। এতে থাকা আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ও মাইগ্রেনের জন্য কারও কারও ক্ষেত্রে দায়ী। তাই, এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭। চাইনিজ খাবার
চাইনিজ খাবার খেতে আমরা অনেকেই খুব পছন্দ করি। চাইনিজ খাবারে ব্যবহৃত মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট মাইগ্রেনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে।
এছাড়াও বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন স্যুপ, নুডুলস ইত্যাদিতেও এই উপাদান থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং মাইগ্রেনের ব্যথা শুরুর কারণ হতে পারে।