১। গলা ফোলা: গলা ফোলে গেছে এমতাবস্থায় ২০-৩০ ফোঁটা শিম পাতার রস পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। অন্ত্রনালীর রোগে: শিমে এমাইনো এসিড, হাইড্রোসায়নিক এসিড, ভিটামিন সহ অনেক উপাদান রয়েছে। এ সকল উপাদান বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা নিরাময় করে। ডায়রিয়া সারাতেও শিম ভাল কাজ করে। এসব সমস্যায় ১০০-১৫০ গ্রাম শিম দিয়ে ঝোল রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। প্রোটিনের চাহিদা: শিমের বীজে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। যারা মাছ গোস্ত খেতে পছন্দ করেন না, তারা শিমের বীজ খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
৪। গর্ভবর্তী মায়েদের পুষ্টি: গর্ভবর্তী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি পূরনে শিমের জুড়ি নেই। তাই গর্ভবর্তী মায়েদের বেশী পরিমাণ শিম খাওয়া উচিত।
৫। ত্বকের যত্নে: শীতে শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ফলে ত্বকলে খসখসে প্রাণহীন মনে হয়। তেল বা প্রসাধনী ব্যবহার না করলে অনেকের ত্বক ফেটে যায়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কি অপার মহিমা নিয়মিত শিম খেলে ত্বক মোলায়েম থাকবে এবং ত্বকের রোগ বালাই থেকে বেঁচে থাকবে।
৬। চুল পড়া কমাতে: শিম একটি খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ সবজি। শিম চুল পড়া কমিয়ে দেয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: শিম পুষ্টি জোগায় আবার নিয়মিত শিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
৮। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে: শিমের বীজে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উভয় উপাদান বিদ্যমান। এই উভয় উপাদানই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
৯। চোখ উঠা: চোখ উঠলে শিম পাতার রস ১-২ ফোঁটা করে প্রতি চোখে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
১০। নাক দিয়ে রক্ত পড়া: যে কোন সাময়িক কারনে বা রক্ত পিত্তের কারনে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ৫০০ মিঃগ্রাম শিম বীজ গুঁড়া পানি সহ সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১১। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে: শিমের বীজের বাকল ফেলে দিলে আমাদের মস্তিস্কের মত দেখায়। শিমের দানায় ভিটামিন বি৬ উৎকৃষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই শিম বীজ আমাদের স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে।
১২। কিডনির রোগে: কিডনির জটিলতায় শিম বীজ উপকারী।
১৩। কোষ্টকাঠিন্য: শিমে অনেক খাদ্য আঁশ রয়েছে। নিয়মিত শিম খেলে কোষ্টকাঠিন্য থাকে না। এমনকি নিয়মিত শিম খেলে কোলন ক্যান্সারও ভাল হয়ে যায়।