বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রক্তদাতা জাভেদ নাছিম (দাদুর) মহান আত্মত্যাগের গল্প
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রক্তদাতা জাভেদ নাছিম (দাদুর) মহান আত্মত্যাগের গল্প
ক্যাটাগরি: রক্তদাতা , সেচ্ছাসেবী
লিখেছেন : AS Tushar ৪ বছর ২৭ দিন ১০ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে ২০২৪

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রক্তদাতা (১৮০ বার), মানবসেবায় নিবেদিত প্রাণ, মানবতার উৎকৃষ্ট সেবক, বাংলাদেশের সকল রক্তদাতাদের পরিচিত মুখ, হাজারো রক্তদাতার আদর্শ জনাব মোঃ জাভেদ নাছিম। অবশ্য সকল রক্তদাতার কাছে তিনি দাদু বলেই পরিচিত। চলুন আজকে তার রক্তদান জগতের পথচলা ও রক্তদানের জন্য তার মহান আত্মত্যাগের গল্প শুনি। আগে টেলিভিশনের হেডলাইনে একটি মানবিক বার্তা লিখে রক্তের জন্য আবেদন করা হতো। এই আবেদন গুলো পড়ে উদ্বুদ্ধ হউন তরুণ জাভেদ নাছিম। তিনি ছোট বেলায় থেকে মনস্তাব করেন যে তিনি বড় হয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চান। তারপর তিনি যখন বড় হউন তখন তিনি নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি মুমূর্ষ রোগীর জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করবে। তখন সময়টা ছিলো ১৯৮৬ সালে ২৭ অক্টোবর তিনি তখন তৎকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র। সেখানে রেড ক্রসের একটি ক্যাম্পেইনে তিনি প্রথম রক্তদান করেন। সেদিনটি তার জন্য খুবই স্পেশাল ছিল। কারণ সেদিন ছিল তার ১৮তম জন্মদিন। একে তো জন্মদিন তার মধ্যে আবার তার প্রথম রক্তদান। তিনি তো বেজায় খুশি। আচ্ছা যাই হোক তারপর থেকে যে তিনি রক্তদান শুরু করলেন এখনো তা চলমান আছে। ৩৪ বছর পর ২৭ অক্টোবর ২০২০ যখন তিনি আবার রক্তদান করেন তখন তার সম্পূর্ণ হয়েছিল ১৭৮ তম রক্তদান। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সুস্থ মানুষ ৩মাস অর্থাৎ ৯০ দিন পর পর রক্তদান করতে পারেন। সে হিসেবে তার রক্তদান হওয়ার কথা ১৩৫ বার বা তার আশপাশ। কৌতুহল নিয়ে যখন তাকে প্রশ্ন করলাম, “দাদু আপনার রক্তদান এতোবার কি করে হয়েছে” তখন তিনি উত্তরে জানান, তিনি সম্পূর্ন ব্যাগ (৪৫০মিলিঃ) রক্ত দেন ১২২ বার, প্লাটিলেট দেন ৩ বার এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য দেন ৫৫ বার। পার্থক্য গড়েছে বাচ্চাদের জন্য দেওয়া ৫৫ বার রক্তদানে। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রক্তদাতা।

জাভেদ নাছিম দাদুর রক্তদানের জন্য মহান আত্মত্যাগের গল্পঃ সময়টি ছিলো ১৯৯৮ সালের ২৫ নভেম্বর দুপুর বেলা। যেটা ছিল জাভেদ নাসিম দাদুর জন্য একটি কালো অধ্যায়, উনি উনার হবু সন্তানকে এক দূর্ঘটনায় হারান। হাসপাতালে অইদিন এক বাবা তার সন্তানের জন্য ও নেগেটিভ রক্তের জন্য হন্য হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। জাভেদ নাছিম তার মৃত সন্তানের লাস হাসপাতালে রেখে ছুটে যায় রক্তদান করতে। অইদিনই উনি প্রথম জানতে পারেন বাচ্চাদের জন্য রক্ত কম লাগে, কারন অই বাচ্চাকে মাত্র ১৫০ মিলি রক্তদান সম্পূর্ণ করে হাস্পাতাল থেকে তার মৃত সন্তানের লাশ নিয়ে দাফন করে আসেন। তার সন্তান মারা গিয়েছে তারপরও তার রক্তে আরেকটি সন্তান বেঁচে যাওয়ায় তিনি সাময়িক ভাবে কিছুটা আত্মতৃপ্তি পেলেন…………

স্যালুট দাদু আপনাকে, আপনার এই মহান আত্মত্যাগের জন্য।

 

আপনার জন্য নির্বাচিত
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা লিখেছেন : Zulfikar Bin Hossain
৪ বছর ৫ মাস ১৪ দিন ১২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে ৮৯৭৪৩
কেন পা কামড়ায়? যা করবেন লিখেছেন : Zulfikar Bin Hossain
৪ বছর ৫ মাস ২৬ দিন ৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে ৮৫৯০০
রক্ত ও রক্তের উপাদান লিখেছেন : AS Tushar
৪ বছর ১০ মাস ১২ দিন ৬ ঘন্টা ৩৫ সেকেন্ড আগে ৪৮৯৫৯