সাধারণত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়. অন্যদিকে কিটো ডায়েট যে প্রক্রিয়ায় ফ্যাটের থেকে উর্জার সৃষ্টি করে তাকে কিটোসিস বলা হয়.
কিটো ডায়েট, কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট হিসাবেও পরিচিত, এরফলে শরীরে উর্জার সৃষ্টির জন্য লিভারে কিটোন উৎপন্ন করা হয়. সাধারণত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়. অন্যদিকে কিটো ডায়েট যে প্রক্রিয়ায় ফ্যাটের থেকে উর্জার সৃষ্টি করে তাকে কিটোসিস বলা হয়.এই ডায়েটে প্রায় 70 শতাংশ ফ্যাট গ্রহণ করা হয়, অন্যদিকে 25 শতাংশ প্রোটিন আর 5 শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে.
কিটো ডায়েটে কি কি খাওয়া যায়
আপনি যদি আমিষ খান, তাহলে মাছ, চিকেন, খাসির মাংস এবং ডিম্ খেতে পারেন. অন্যদিকে যারা নিরামিষাশী তারা পাতা বহুল শাক, যেমন- পালং, মেথি প্রভৃতি খেতে পারেন. ফুলকপি, ব্রোকলি প্রভৃতি খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না. এছাড়া ফ্যাটের উৎস হিসাবে পানির, ক্রীম, মাখন খান. আখরোট, সূর্যমুখীর দানা, নারকেল তেল, উচ্চ ফ্যাট যুক্ত স্যালাড প্রভৃতি ব্যবহার করেও আপনি লাভবান হবেন. শরীর সুস্থ রাখার জন্য আখরোট খাওয়া খুবই জরুরি.
কি খাবেন না
কিটো ডায়েটে গম, ভুট্টা, ভাত, শস্যদানা এবং চিনি যতটা সমম্ভব কম গ্রহণ করতে বলা হয়. কলা, কমলালেবু এবং আপেল খাওয়া উচিত না. আলু খাবেন না.
কিটোজেনিক ডায়েটের উপকারিতা
কিটোজেনিক ডায়েট ওজন কমানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ, আমাদের শরীরের উর্জার স্রোতের জন্য আমাদের ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের ব্যবহার করা উচিত, আর সেই কারণেই আপনার শরীরের ওজন কমতে শুরু করে. এই ডায়েটে শুগার ও ক্যালোরির মাত্রা কম হয়, তাই মধুমেয়ের মতো রোগের জন্য খুবই উপকারী.