আমারো কি হৃদরোগ হতে পারে? এমন প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনেই আসে। কিন্তু আমরা কি জানি হৃদরোগের ঝুঁকিতে কারা আছেন?
আসুন আমরা জেনে নেই হৃদ রোগ বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি।
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপঃ হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় হাইপারটেনশন। যাদের এই সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত ঔষধ খেতে হবে। বছরে অন্তত দুইবার প্রেসার মেপে দেখা উচিত।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাঃ রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এজন্য অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীঃ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিয়মিত কায়িক শ্রম ও সুশৃংখল জীবন যাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীরা হার্ট অ্যাটকের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
নেশা জাতীয় দ্রব্যঃ ধূমপান বা অ্যালকোহল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধে আজই ধূমপান পরিহার করুন।
হরমোন থেরাপি ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাঃ যারা হরমোন থেরাপি নেন তাদের হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাছাড়াও পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজে আক্রান্ত মহিলাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তেল বা চর্বিযুক্ত খাবারঃ যারা অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার খান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এজন্য ডিমের কুসুম, মাংস, কলিজা, মগজ, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি যতটা সম্ভব কম পরিমাণে খেতে হবে।
রক্তের গ্রুপঃ ‘A’, ‘B’ এবং ‘AB’ রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের হৃদরোগ হওয়ার প্রবনতা অনেক বেশি।
তাই আসুন সকল ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার, অতিরিক্ত তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম এবং সুশৃংখল জীবন যাপনের মাধ্যমে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করি।