আমার তো মাঝেমাঝেই বুকে ব্যথা হয়! তাহলে কি আমি জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত? আমাদের অনেকের মনে প্রায় সময়ই এমন সব প্রশ্ন জাগে। বুকে ব্যথা হলে প্রথমেই আমাদের মনে যে সংশয় উঁকি দেয় তা হলো হার্ট অ্যাটাক।
আসলে বুকে ব্যাথা মানেই হার্ট অ্যাটাক নয়। এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে নানাবিধ কারণে।
আসুন আমরা বুকে ব্যথার কারণ সমূহ জেনে নেই।
হৃদ জনিত কারণঃ হৃদপিন্ডের নানা সমস্যার কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যাটি প্রতিরোধে হৃদপিন্ডের সুস্থতা আবশ্যক।
ফুসফুস জনিত কারণঃ ধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুস জনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ফুসফুসের সমস্যার কারণে বুকে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
খাদ্যনালী জনিত কারণঃ খাদ্যনালীর অস্বাভাবিকতার কারণেও হতে পারে তীব্র বুকে ব্যথা।
মানসিক কারণঃ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।
এছাড়াও অ্যাসিডিটি, বুকে আঘাত লাগা, ভারী কিছু ওঠানো ইত্যাদি কারণেও বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
তীব্র বুকে ব্যথা হলে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েন। বুঝতে পারেন না আসলে কি করা উচিত। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যদি কোনো কারণে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয় তাহলে একটি ৩০০ মিলিগ্রাম এসপিরিন ঔষধ চিবিয়ে খেতে হবে।
তীব্র বুকে ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়ঃ
ধূমপানঃ ধূমপানের কারণে রক্তনালীতে চর্বি জমে এবং করোনারি ধমনিকে সংকুচিত করে তীব্র বুকে ব্যথার সৃষ্টি করে। তাই আজই এই বদ অভ্যাস পরিহার করুন।
কায়িক শ্রমঃ হাঁটাচলার অভ্যাস দিনদিন কমে যাচ্ছে। অনেকেই তিন চার তোলা উঠার জন্যেও লিফট ব্যবহার করেন। যা মোটেও ঠিক নয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০- ৪০ মিনিট হাঁটা জরুরী।
খাদ্যাভাসঃ অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার বুকে ব্যথার অন্যতম কারণ। তাই দৈনন্দিন খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক- সবজি, ফলমূল, সালাত, পানীয় জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপঃ তীব্র বুকে ব্যথা প্রতিরোধে অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ শরীরের এমন কোনো অঙ্গ নেই যেগুলো ডায়াবেটিসের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হয় না। তাই বুকে ব্যথা প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক।
তীব্র বুকে ব্যথা হলে অবহেলা নয়। বরং যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।