চিকিত্সককে নিশ্চিত হতে হবে যে ব্যক্তিকে বিষধর সাপে কামড়েছে। এর জন্য মানুষটিকে অন্তত ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বিষধর সাপে কামড়ালে চামড়ায় অন্তত স্পষ্ট দু’টি দাঁতের দাগ থাকবে এবং ক্ষতস্থানটির স্থানীয় ভাবে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। যদি এ সব কিছুই না দেখা যায় এবং মানুষটির কোনও শারীরিক উপসর্গ না দেখা যায় তা হলে ধরে নেওয়া হয় যে এই সাপটি বিষহীন। সাপটিকে ধরতে পারলে এর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। যা-ই হোক, যদি চিকিত্সক মনে করেন মানুষটিকে বিষধর সাপে কামড়েছে তা হলে দ্রুত তার চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে হবে।
অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ
এই চিকিত্সার ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে রোগীকে আশ্বস্ত করে একটি স্যালাইন ড্রিপের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব অন্তত দশটি ভায়াল অ্যান্টিভেনিন চালিয়ে দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ জীবনদায়ী চিকিত্সা। এরপর কী পরিমাণ অ্যান্টিভেনিন তাকে চালানো হবে এটি নির্ভর করবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর। তবে বিষধর সাপের কামড়ে সাধারণত ৫০ ভায়াল অ্যান্টিভেনিন প্রয়োজন হয়।
এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক ভাবে রোগীকে সুস্থ করার জন্য যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। যেমন শ্বাসযন্ত্রের নালি বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচাতে হলে সাকার মেশিন দিয়ে সমস্ত জমে থাকা লালা, থুতুকে টেনে বার করে দিতে হবে। অন্য দিকে রক্তপাত ঘটলে বিশেষত মূত্রে রক্ত দেখা দিলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে চন্দ্রবোড়ায় কামড়েছে এবং ডায়ালিসিস করতে হবে। এর জন্য কোনও বড় হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
চন্দ্রবোড়ায় কামড়ালে রক্তের স্বাভাবিক জমাট বাঁধতে অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে একটি সহজ পরীক্ষা হল একটি টেস্টটিউবে ২০ সিসি রক্ত টেনে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে দেখা হয় রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা। যদি রক্ত জমাট না বাঁধে তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে মানুষটিকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়েছে।