ক্যাকটাস গোত্রের ড্রাগন ফল বাংলাদেশেও এখন প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। দামও হাতের নাগালেই বলা যায়। ড্রাগন ফলের সাধারণত তিনটি প্রজাতি রয়েছেঃ
১) লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া। এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
২) কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল।
৩) হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।
মিষ্টি স্বাদের ফলবিশিষ্ট ড্রাগন গাছে ফুল ফোটে রাতে যা দেখতে অনেকটা নাইট কুইন ফুলের মতো, লম্বাটে, সাদা ও হলুদ। এই ফল দেখতেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এটি কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া হয়। বিদেশি এই ফল চাষ করা খুব সহজ। কাটিং লাগালেই গাছ হয়ে গাছ। বাড়ির ছাদে ড্রাম/বালতিতে/গ্রো ব্যাগে কিংবা মাটিতে অনায়াসে লাগানো যায় এবং আমাদের দেশের আবহাওয়ায় দারুণ হয় এই ড্রাগন ফল।
এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে তাই ‘ডায়েট’ এর জন্য উত্তম। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীরা খেতে পারেন অনায়াসেই। ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকার ফলে এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ত্বক হয়।